রবিবার, ২৫ মে, ২০০৮

তিন পাহাড়ের গান

বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা প্রথম পড়ি বোধহয় যখন আমি স্কুলে কি কলেজে পড়ি । অল্প বয়েসের কাঁচা মনে খুবই দাগ কেটেছিল । বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোনদিন ডাকসাইটে কবি ছিলেন না । জীবনানন্দ, বিষ্ঞু দে অথবা শক্তি-সুনীলের সঙ্গে একসঙ্গে কখনই ওনার নাম বলা হত না । অথচ ওরকম একক ও বলিষ্ঠ স্বর আমি বোধহয় আর কারও কবিতায় পাইনি । ঐ একই সময়ে স্কুল অফ পীপলস আর্টের একটা ক্যাসেট হাতে আসে । বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার পাঠ আর সুর দিয়ে গান । সুর করেছিলেন বিনয় চক্রবর্তী । অসামান্য কাজ । কবিতার বই আর এই ক্যাসেট - দুয়ে মিলে বীরেন চাটুজ্জে আমার মধ্যে জেঁকে বসছিলেন ।




খুব ভাল লেগেছিল 'তিন পাহাড়ের গান' কবিতাটা । "পাহাড়িয়া মধুপুর মেঠো ধূলিপথ / দিনশেষে বৈকালী মিষ্টি শপথ" । অসম্ভব প্রাণবন্ত চিত্রকল্প । এসময়ে আমি নিজেও টুকটাক সুর-টুর করতে আরম্ভ করেছি । তো এই "তিন পাহাড়ের গান"-এও সুর করি এই সময়ে । পুরোটা নয় । কবিতাটা আরও লম্বা । কিন্তু যেখানে মনে হয়েছিল গান শেষ হওয়া উচিত, সেই অব্দিই সুর করেছিলাম । সেটা বোধহয় ১৯৮৮-৮৯ সাল । নিজের জন্যে করা, নিজের কাছেই রাখা ছিল । কাউকে শোনানো হয়নি । তার প্রায় বছর বারো-চোদ্দ পরে পারমিতার উৎসাহে ও প্ররোচনায় একে ওকে শোনাই । তারও পরে, ২০০৭ সালে এসে অ্যারেঞ্জ করি গানটা । এই সেই গান ।